Update

10/recent/ticker-posts

হোয়াইট হ্যাকার বা ইথিক্যাল Hacking করে মাসে আয় কোটি টাকা

হোয়াইট হ্যাকার বা ইথিক্যাল Hacking করে মাসে আয় কোটি টাকা।


হ্যাকিং বা হ্যাকার এ শব্দগুলোর সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ায় এ দুনিয়ার সবাই হ্যাকিং শব্দটি জানেন।

তবে হ্যাকিং বা হ্যাকারকে এখনও অনেকাংশেই নেতিবাচকভাবে দেখা হলেও আসলে হ্যাকিংয়ের ইতিবাচক দিকও রয়েছে অনেক। ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা অনেক অর্থ উপার্জন করে থাকে। ফয়সাল আজ জানাবে ইথিক্যাল হ্যাকিং করে কী কী উপায়ে অর্থ উপার্জন করা যায় প্রনাভ হিভারেকার একজন ফুল টাইম হ্যাকার। ২০১৬ সালে সে চেষ্টা করেছিলেন ফেসবুকের সর্বশেষ ফিচারের মধ্যে দুর্বলতা খুঁজে বের করতে। যেসব দুর্বলতা বা ভুল অপরাধীদের হাতে পড়লে তারা একটি কোম্পানির নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে পারে ও তথ্য-উপাত্ত চুরি করে নিতে পারে প্রনাভ সে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করেই হ্যাকিং করত।
👇👇👇👇
👆👆👆👆
আর অমনি ফেসবুক থেকে যে কোনো ভিডিও ডিলিট করে দিতে ব্যবহৃত হয় এমন একটি কোড খুঁজে পেল প্রনাভ। তিনি ফেসবুককে এর বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেই দুর্বলতা সম্পর্কে জানান। দু’সপ্তাহের মধ্যেই একজন তিনি ডলারে ৫ ডিজিটের একটি অঙ্কের পুরস্কার পান। বাগ হান্টারস তরুণ এবং ১৮-২৯ বছরের কিছু এথিক্যাল হ্যাকারস এখন বড় অঙ্কের অর্থ আয় করছেন এবং এ শিল্পটাও বড় হচ্ছে। তারা কোম্পানির ওয়েব কোডের দুর্বলতা খুঁজে দিয়ে কোম্পানির কাছ থেকে পুরস্কৃত হচ্ছে। আর যদি এমন কোনো বাগ বা ত্রুটি বের করে দিতে পারে কোনো হ্যাকার যে ত্রুটি আগে কখনও পাওয়া যায়নি তবে জোটে বড় অঙ্কের অর্থ, এমনকি লাখ ডলার পর্যন্তও। যারা এমন ভালো কাজগুলো করে তাদের বলা হয় এথিক্যাল হ্যাকার বা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারস। শিভাম ভ্যাশিস্ট একজন ইথিক্যাল হ্যাকার পুরস্কারই যার একমাত্র আয়ের উৎস। উত্তর ভারতের এ এথিক্যাল হ্যাকার গত বছর এক লাখ পঁচিশ হাজার ডলার আয় করেছেন। সে বিশ্বের বড় একটি কোম্পানিকে হ্যাক করে এবং অর্থ আয় করে। বাগ বাউন্টিতে বড় অর্থ


বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাগ বাউন্টি কর্মসূচি এসব হ্যাকারকে উৎসাহিত করতে ভূমিকা রাখছে। এ কর্মসূচি প্রযুক্তি আগ্রহীদের জন্য আইনসিদ্ধ বিকল্প সুযোগ যারা না হলে ক্ষতিকর চর্চার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারত।

👇👇👇👇
👆👆👆👆
সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম হ্যাকারওয়ান বলছে, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের হ্যাকাররা সবচেয়ে বেশি পুরস্কারের অর্থ পেয়েছে। তাদের কেউ বছরে সাড়ে তিন লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। সন্দীপ সিং যিনি এখন ‘গিকবয়’ নামে পরিচিত হ্যাকার ওয়ার্ল্ডে, তিনি বলছেন এটা কঠোর পরিশ্রমের ব্যাপার। ‘প্রথম ভ্যালিড রিপোর্ট আর পুরস্কার অর্থ পেতে আমাকে ছয় মাস কাজ করতে হয়েছে ও ৫৪টি রিপোর্ট দিতে হয়েছে’। সিকিউরিটি বাড়াতে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারের ভিবিন্ন প্রোগ্রামে নিরাপত্তা দিতেও ভিবিন্ন হ্যাকার কোম্পানির মাধ্যমে বাগ বাউন্টি কর্মসূচি পরিচালনা করছে। হ্যাকারওয়ান, বাগ ক্রাউড, সাইন্যাকের মতো আরও অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা এথিক্যাল হ্যাকারস খুঁজে দেয়া, কাজগুলো ভেরিফাই করা ও ক্লায়েন্ট সম্পর্কে গোপনীয়তা নিশ্চিত করে থাকে। তিনটি বড় বাগ বাউন্টি ফার্ম এর মধ্যে বড় হলো হ্যাকারওয়ান। তাদের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ হ্যাকার আছে এবং তারা প্রায় সত্তর মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে থাকে, বলছিলেন কোম্পানির হেড অফ হ্যাকার অপারেশন বেন সাদেঘিপোর।


যদিও বাগ বাউন্টি নতুন কিছু নয় তবে এ ক্ষেত্রে পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ছে স্বাভাবিক কোম্পানিগুলো নিরাপত্তা জোরদারকরণের অংশ হিসেবে। কোম্পানিগুলো জানে যে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নিলে এটি হ্যাকারদের আক্রমণের সুযোগ তৈরি করতে পারে এবং তাতে করে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বেহাত হতে পারে যা বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম সাইন্যাক বলছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সাইবার অ্যাটাক আশি ভাগ বেড়েছে অথচ সিকিউরিটি ট্যালেন্টের সংখ্যা হাতেগোনা’। সাইবার সিকিউরিটি ফার্মগুলো বলছে, তারা বিশ্বস্ত হ্যাকারদের নিয়ে আরও নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারে।


যদিও অনেক দেশেই আইনগতভাবে হ্যাকিং নিষিদ্ধ। তবে হ্যাকারদের জন্য এটা সহজ যে ই-মেইলে কোনো প্রতিষ্ঠানকে জানানো যে তাদের সমস্যা রয়েছে। এরপর বাগ বাউন্টি ফার্মগুলো সঠিক লোক দিয়ে কাজ করাতে সহায়তা করতে পারে।


অন্য আরেক তথ্য মতে

হোয়াইট হ্যাকার বা ইথিক্যাল Hacking করে মাসে আয় কোটি টাকা।

হ্যাকিং যে শুধু অনৈতিক, তা নয়। নৈতিক হ্যাকিংয়ের পথে থেকেও লাখ লাখ টাকা আয় করা যেতে পারে। ডিজিটাল রূপান্তরের এ যুগে তাই অনেকেই শুরু করেছেন এথিক্যাল বা নৈতিক হ্যাকিং। এ পথেই সিস্টেমের বাগ বা নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে বের করে এক বছরেই প্রায় কোটিপতি হয়ে গেছেন ভারতের ২৩ বছর বয়সী এক যুবক। তিনি বেছে নিয়েছেন এথিক্যাল হ্যাকিংয়ের পথ। হ্যাকারওয়ান মূলত কোনো সিস্টেমের দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করে এবং বাগ বাউন্টি বা নিরাপত্তা ত্রুটি বের করে পুরস্কারের অর্থ গ্রহণ করে। স্টারবাকস, ইনস্টাগ্রাম, গোল্ডম্যান স্যাচ, টুইটার, জোমাটো ও ওয়ানপ্লাসের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহক। ভারতের এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটারে ‘বুল’ নামের প্রোফাইল দিয়ে পরিচিত ভাসিস্ট। পুরোপুরি হ্যাকার হিসেবে পেশাজীবন শুরু করা ভাসিস্ট চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার বা প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ টাকা আয় করেছেন। গত কয়েক বছরে নিজের ছোট ভাইকেও হ্যাকিংয়ের পদ্ধতিগুলো শিখিয়েছেন। তাঁর বাবা কাজ থেকে অবসর নিতে পেরেছেন। পরিবার নিয়ে বিভিন্ন দেশ ঘুরতে পেরেছেন। ভাসিস্ট বলেন, সপ্তাহে গড়ে ১৫ ঘণ্টা সময় হ্যাকিংয়ের পেছনে ব্যয় করেন। কর্মঘণ্টার ওপর নির্ভর করে সময়ের হেরফের হতে পারে। অনেক সময় টানা কয়েক দিন কাজ করে যেতে হয় আবার অনেক সময় কয়েক সপ্তাহ বসে কাটাতে হয়। গত এক বছরে এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে হ্যাকার চালিত নিরাপত্তা কর্মসূচি ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত বছরে নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে বের করে পুরস্কারের অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ১৯ শতাংশ আয় করেছেন দেশটির হ্যাকাররা। ১০ শতাংশ আয় করে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন ভারতের হ্যাকাররা।
👌👌👌
হ্যাকারওয়ানের ‘হ্যাকার-পাওয়ার্ড সিকিউরিটি রিপোর্ট ২০১৯’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ২৪ মার্কিন ডলার ভারতের এথিক্যাল হ্যাকার কমিউনিটি আয় করেছে। মাত্র ১৯ বছর বয়স থেকেই কম্পিউটার ও এথিক্যাল হ্যাকিং বিষয়ে পড়তে শুরু করেন ভাসিস্ট। শুরুতে অবশ্য তাঁর পরিবার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। ভাসিস্ট বলেন, ‘আমি তাঁদের বোঝাতে পেরেছিলাম যে আমি যা করছি তা পুরোপুরি বৈধ। এ খাতে কেরিয়ার গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর থেকে পরিবারের সমর্থন পেয়েছি। মাত্র ২০ বছর বয়সেই ইনস্টাকার্ট এর কিছু ভুল দেখায় এবং যার জন্য তিনি অনেক বড় পুরুস্কার পায়। ভাসিস্টের ভাষ্য, বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বাগ বাউন্টি পোগ্রাম চালু করছে। তাই এ ক্ষেত্রে সচেতনভাবে এগিয়ে যেতে পারলে অনেকেই কাজ করতে পারেন। নিরাপত্তা সেবার বিষয়ে আরও বেশি পড়াশোনা ও জানানো ও এথিক্যাল হ্যাকারদের কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পারলে সিস্টেমের দুর্বলতাগুলো সহজে বের করা সম্ভব হবে।

Post a Comment

0 Comments